আমাদের জীবনে প্রবর্ত্তক গুরু 

    সতী প্রতিভা পোদ্দার তার আধ্যাত্মিক চেতনা থেকে গুরু প্রসঙ্গ আমাদের সম্মূখে তুলে ধরেছে।

  আমি ঈশ্বর গুরুনাথের একজন অতিকুলাঙ্গার সন্তান। গুরুদেব করুনা করে আমাকে পাপগ্রহন, অভেদজ্ঞান ও পরে প্রকৃত বীজ প্রদান করেছেন। গুরুদেবের কৃপাতেই আমি সত্যধর্ম্ম নামক পথ পেয়েছি। আমি একজন সত্যেষ্ট। আমি শৈশবকাল হ‌ইতেই উৎসবে কম-বেশি যেতাম। তবে আমি উৎসব দেখেছি ২০১৭ সালে কল্যানীতে বর্তমান আদিষ্ট সাধকের পরিচালনায়, সেখানে কতো সুন্দর সবকিছু নিয়মমাফিক করা হয়। যেন আদিষ্ট সাধক একজন মিলিটারি।



    প্রতিমুহুর্তে আমাদের তাড়িয়ে তাড়িয়ে কাজ করান। আমাদের আদিষ্ট সাধক তথা প্রবর্তক গুরু গুরুদেবের আদেশ ভিন্ন কোন‌ও রূপ কার্য্য করেন না। সদাসর্বদা আদের কল্যান ও পরমান্নোতির জন্য ব্যতিব্যাস্ত। আমাদের প্রবর্তক গুরু অনেক দিন আগে থেকেই বলে আসছেন গুরুদেবের নির্দেশ আছে একমাস ব্যাপী বছরের মধ্যে তিনটে অধিবেশন চলিবে।



   এবং আমাদের সকলকে তাহা করিতে হ‌ইবে। এই কথা শোনামাত্র আমি মনে ভাবলাম তা কি সম্ভব এই চারদিনের জন্য আমরা উৎসবে আসি তাতে সকলে সঠিক সময় মতো উপস্থিত ও থাকতে পারিনা। আবার সংসার আসক্ত আমরা, এ কি করে হ্‌ইবে। মূলকথা গুরুদেব দূরদর্শী সম্পন্ন গুরু বাহ্যরূপী ভেকধারী গুরু নন। তাঁর সম্পর্কে কিছু বলার কোনও ক্ষমতা আমার এখনো হয় নাই।



   সৃষ্টির সর্বোচ্চ ধামে যিনি অব্স্থান করে আছেন, যার আজ্ঞাবহ দাস এই পৃথিবীর সমস্ত দেবদেবী, যিনি ষড়রিপুর লয় ও সম্পদন করেছেন আবার পরমপিতার সহিত অভেদজ্ঞান‌ও করেছেন এহেন গুরুকে কি দিয়ে কিভাবে কিরূপে আমাদের গ্রহন করিতে হ‌ইবে তাহার বিন্দুমাত্র আমরা জানিনা আর করিতেও পারিতেছিনা !! এমন গুরুর নাম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অশ্রুসিক্ত ও বিগলিত হ‌ওয়া উচিত। 



   আমরা গুরুদেবের প্রতি একটুও ভক্তি করিতে পারিতেছিনা। আদিষ্ট সাধক আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে আমরা সব দেখিতে পাই নতুবা চোখ থাকিতে আমাদের অন্ধবৎ অবস্থা।

        প্রতিভা পোদ্দার, সোনারপুর, ২৬.০৭.২০২০