আমাদের প্রবর্ত্তক গুরু।

   

   সৎ সুমিত তার আধ্যাত্মিক চেতনা থেকে গুরু প্রসঙ্গ আমাদের সম্মূখে তুলে ধরেছে।

   প্রথমে  বলি আমি কি ভাবে সত্যধর্ম্মে এলাম এবং কি ভাবে আমি আমার প্রবর্ত্তক গুরুর হইতে দীক্ষা প্রাপ্ত হইলাম । এবার বলি  আমাদের পরিবারের মধ্যে আমার দাদু  'শ্রী অতুল মন্ডল' এবং তার স্ত্রী 'শ্রীমতি সুশীলা মন্ডল' তারাই প্রবর্ত্তক গুরুর নিকট হইতে প্রকৃত দীক্ষা লাভ করেন তাং:- ০১/০৩/২০১৬ এবং  সত্যধর্মে প্রবেশ করে এবং তাদের উদ্যোগেই আমার মা, বাবা, এবং মাসি রা সত্যধর্ম্মে প্রবেশ করে এবং তাঁরা প্রকৃত দীক্ষা তো তখন পাইনি শুধু মাত্র নাম পেয়েছিল।



   তার পর থেকে অনুষ্ঠানে যাওয়া হতো আমার মা, বাবার সাথে আমিও যেতাম তখন আমি বেশ ছোটো ধর্ম্ম কর্ম কিছুই জানতাম না । এই ভাবে চলতে থাকে তারপর আমি খানিক টা বড়ো হয়ে যাই । তারপর একদিন তাং:- ০৩—০৩—২০১৯ আমার মাসির বাড়ি স্থান:- কল্যাণী B2/1 তো সেখানে একদিনের উপাসনা হয় এবং তার উদ্দেশ্য ছিল এই যে, আমার মাসির বাড়িতে একটি বেশ বড় আম গাছ আছে বেশ কিছু বছর আগে একটি ছোট মেয়ে সেই গাছে আম পারতে গিয়ে পড়ে যায় এবং তার মৃত্যু হয় তার আত্মার শান্তি পায় না।



   আমার মাসির ছেলে ছোটো তাকে এসে দেখা দিত এবং সেই ছোট ছেলেটি ভৌতিক আচার আচরণ করতো এবং তার জন্যই 'শ্রী চন্দন বৈরাগী' মহাশয় প্রর্বতক গুরু কে নিয়ে আসে এবং আমরাও সেখানে উপস্থিত হই । এবং সেখানে আমার প্রর্বতক গুরুর সাথে প্রথম দেখা হয় এবং উপাসনা হয়ে যাওয়ার পর সেইদিন সন্ধ্যা :- ৬:৪২ pm আমার প্রর্বতক গুরুর হইতে দীক্ষা প্রাপ্ত হয় । তো এই ভাবে আমি সত্যধর্মে প্রবেশ করি ।



   এবার বলি প্রর্বতক গুরুর কাছ থেকে পাওয়া কৃপার কথা ।
 আমার ছোট মাসির ছেলে তার বয়স ২ বছর  তার একদম ছোট থেকে শ্বাসকষ্ট হয় এবং অনেক ডাক্তার দেখিয়েছে এবং বেশকিছু বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি তার পর আমি আমার প্রর্বতক গুরুর কাছে জানাই প্ররর্ত্তক গুরু যা যা করতে বলে সব করা হয় , গুরু দেবের কৃপায় ও প্রবর্ত্তক গুরুর আশীর্বাদে তারপর থেকে শিশুটি এখন বর্তমানে ভালই আছে।


   আরো বলি আমার দাদুর শ্বাসকষ্ট রোগটি ছিল বর্তমানে আমার মায়েরও সেই রোগটি হয়। অনেক পুরনো  মায়ের এই রোগটি অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে কিন্তু কিছু হয়নি, যে যা বলেছে যেখানে যেতে বলেছে সেখানে যাওয়া হয়েছে । কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি তারপর আমি একদিন প্রবর্ত্তক গুরুকে জানাই । কয়েকটি কথা বললো এ তো অনেক পুরনো রোগ তোমার মা ,পিতৃ লোক থেকে পেয়েছে চিন্তা করো না তুমি। কিছু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার দরকার এবং তোমার মায়ের সাথে সামনাসামনি কিছু কথা বলার দরকার।


   লকডাউন তো মায়ের আর দেখা সম্ভব হয়নি, তবুও আমার মা ওষুধ না খেয়েই সুস্থ আছেন। প্রবর্ত্তক গুরুর কৃপার কোন শেষ নেই , যত বলি ততই কম হবে। আরো যে কত অশেষ কৃপা পেয়েছি সে আমি নিজেও জানিনা,কিন্তু পেয়েছি। আরো কত বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন কোন সীমানা নেই , তবুও তার আদেশ ঠিক করে পালন করতে পারি না তাকে ভক্তি করতে পারিনা । কিন্তু তিনি যে আমাদেরকে কোনদিনও দূরে সরিয়ে রাখেন নি, আমরা যতই দূরে যেতে চেয়েছি তিনি ততই আমাদের কাছে টেনে নিয়েছেন।


             সুমিত মণ্ডল (স্থান-কল্যাণী)
               05/08/2020

   
   

  



   


   

  ‍