আমাদের প্রবর্ত্তক গুরু
সৎ সমীর ঢালী তার আধ্যাত্মিক চেতনা থেকে গুরু প্রসঙ্গ আমাদের সম্মূখে তুলে ধরেছে।
স্বল্প আয়ু স্বল্প শক্তি নরের পরম মুক্তি লাভের উপায়। (প্রিয়তম সন্তান গুরুনাথ) শেষে প্রিয়তম জনে সত্য ধর্ম প্রচারণে আদেশীলা যেই জন পরমপিতা স্বয়ং কলুশানলে দগ্ধ ধরণীকে অমৃত বাড়ি সিঞ্চনে শান্তি প্রদান অর্থ গুরুনাথ কে জন্মগ্রহণের আদেশ দিলেন।১৮৪৭ সালে ৮ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবা চতুর্দন্ড সময়ে ধনুর্লগ্নে গুরু ক্ষেত্রে , গুরু গুরু নাথ বিশ্ববাসীর চিরশান্তি চির মুক্তি প্রদানে বয়ে নিয়ে এলো মুক্তির বার্তা (সত্যধর্ম্ম ),জন্ম হল গুরুনাথের। আনন্দে আত্মহারা হয়ে আকাশ বাতাস ওঙ্কার ধ্বনিতে ভরে উঠলো দেব দেবী গণ খুশিতে নিত্য করতে লাগলেন ।
শুরু হলো সত্য যুগ সত্য ধর্মের প্রচার, গুরুদেব থাকাকালীন সময়ে যেভাবে প্রচারকার্য্য চলিতেছিল, এবং পারোলৌকি মহাত্মাদের আদেশে সত্য ধর্ম্মের প্রচার কার্য সঠিকভাবে চলিতেছিল । গুরুদেব নিজের হাতে প্রবর্ত্তক রূপে মহাত্মা নিবারণ কে গড়ে তুলেছিলেন সত্যধর্ম্ম প্রচারের উদ্যোগে, কিন্তু ওই সময় সুরেন্দ্র নাথ সেনগুপ্ত সত্যধর্ম্মের প্রভূত ক্ষতি করে গিয়েছেন, মহাত্মা নিবারণ কে বহু খারাপ কথা শুনতে হয়েছে বহু অপমান হতে হয়েছে কিন্তু পরম পিতার ইচ্ছায় প্রধান প্রবর্ত্তক গুরু হলেন মহাত্মা নিবারণ চন্দ্র পান্ডে।
গুরুদেব নিজের হাতে উপাসনা খন্ডের চতুর্থ অধ্যায়ের শেষের দিকে লিখে গিয়েছেন, তা সত্বেও আমরা অন্ধের মত গুরুদেবের কথা অমান্য করে ধ্যান এবং অন্যান্য বহু কিছু বাদ দিয়ে আমরা উপসনা করতে শুরু করেছি এবং নিজেদেরকে অধঃপাতের দিকে ঠেলে দিয়েছি। আমাদের উদ্ধার কল্পে পুনরায় পরম পিতার আশীর্বাদে আমরা আবার পেলাম আদিষ্ট সাধক মহাত্মা নিরুপম কে প্রবর্ত্তক গুরু রূপে যিনি প্রবর্ত্তক রূপে আমাদের মাঝে আছেন, গুরুদেবের নির্দেশ ছাড়া এক পাও হাঁটেন না তিনি। গুরুদেব যখন যাহা আদেশ করেন তখন তিনি তাহা করেন গুরুদেবের ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদেরকে তিনি পরিচালনা করতে চেষ্টা করেন।
বিগত ৪৮ বৎসর আদিষ্ট সাধক ছিলেন না সত্যধর্ম্মের প্রচার কার্য্য বিন্দুমাত্র হয়নি, কারণ আদিষ্ট সাধক ছাড়া সত্যধর্ম্ম প্রচার কার্য্য অসম্ভব। তাই অন্ধকারের অতলে তলিয়ে ছিলাম আমরা , অধর্ম্মকে ধর্ম্ম ভেবে অনেকে যায় নিরয় আমাদের দশা ও ঠিক তাই হয়েছিল । আমার জীবনে কি করে উপাসনা করতে হয় জানতাম না শুধু গুরুপূজা করতাম যতটুকু পারি আর গুরুর কাছে কাঁদতাম গুরুদেব আমাদের ভাগ্যে কি মহাপুরুষ জুটবে না স্থূলভাবে তোমাকেও পাইনি মহাত্মা নিবারণ চন্দ্রকে ও পাইনি তুমি আমাদের আশা পূর্ণ করো পিতা, সাহায্য করো রক্ষা কর জগতের পাপিতাপি সন্তানদের ,আমাদিগের কষ্ট মোচন করো তুমি মহাপুরুষের আশা পূর্ণ করো তুমি সন্ধান দাও আমাদের, গুরুদেব আশা পূর্ণ করলেন 2011 সাল ব্রাহ্ম দর্শন করলেন মহাত্মা নিরুপম ।
আমাদেরকে শিক্ষা দিলেন কি করে উপাসনা করতে হয় । তিনি আমাদেরকে গুরুদেবের নির্দেশিত নিয়মে প্রোগ্রাম প্রস্তুত করে দিলেন। ছিল না গান তিনি বহু গান লিখলেন, আমরা এখন উপাসনায় আনন্দ অনুভব করি শান্তি অনুভব করি আত্মায়, কখনো কখনো মনে হয় অমৃত পান করিতেছি ব্যাকুল হয়ে পড়ি বহু সময়। বহুদিন আগে একবার প্রবর্ত্তক গুরু উৎসবের মাঝে বলে উঠলেন গুরুদেব বলছেন কবে আমার সন্তানগন এক মাস ধরে উৎসবে সাধনায় রত হবে, কবে আসবে আমার সেই দিন আমরা আদিষ্ট সাধকের কথা কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি।
এক মাস উৎসব হলো। কি করে সম্ভব কি করে আমরা উপাসনা করব কিন্তু পরম পিতার ইচ্ছায় হয় না এমন কিছু নেই আজ তিন মাসের উপরে দিনে চারটি করে গুণের উপাসনা একটি করে গুরুপূজা আমরা যে যার বাড়িতে বসেই করছি। নিত্যক্ষন সাহায্য করছেন আমাদের আদিষ্ট সাধক মহাত্মা নিরুপম। পরম পিতার আশীর্বাদে এই নবজাগরণ পুনরায় জাগ্রত ও উজ্জ্বল হয়ে রবে বর্তমান প্রবর্ত্তক গুরু মহাত্মা নিরুপম, অমৃত পানে আমাদেরকে সুধা বাড়ি দান করবেন। প্রবর্ত্তক গুরুর চরণে জানাই আমার ভক্তিপূর্ণ প্রণাম।
সমীর ঢালী, উড়িষ্যা, ৪.৮.২০২০
স্বল্প আয়ু স্বল্প শক্তি নরের পরম মুক্তি লাভের উপায়। (প্রিয়তম সন্তান গুরুনাথ) শেষে প্রিয়তম জনে সত্য ধর্ম প্রচারণে আদেশীলা যেই জন পরমপিতা স্বয়ং কলুশানলে দগ্ধ ধরণীকে অমৃত বাড়ি সিঞ্চনে শান্তি প্রদান অর্থ গুরুনাথ কে জন্মগ্রহণের আদেশ দিলেন।১৮৪৭ সালে ৮ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবা চতুর্দন্ড সময়ে ধনুর্লগ্নে গুরু ক্ষেত্রে , গুরু গুরু নাথ বিশ্ববাসীর চিরশান্তি চির মুক্তি প্রদানে বয়ে নিয়ে এলো মুক্তির বার্তা (সত্যধর্ম্ম ),জন্ম হল গুরুনাথের। আনন্দে আত্মহারা হয়ে আকাশ বাতাস ওঙ্কার ধ্বনিতে ভরে উঠলো দেব দেবী গণ খুশিতে নিত্য করতে লাগলেন ।
শুরু হলো সত্য যুগ সত্য ধর্মের প্রচার, গুরুদেব থাকাকালীন সময়ে যেভাবে প্রচারকার্য্য চলিতেছিল, এবং পারোলৌকি মহাত্মাদের আদেশে সত্য ধর্ম্মের প্রচার কার্য সঠিকভাবে চলিতেছিল । গুরুদেব নিজের হাতে প্রবর্ত্তক রূপে মহাত্মা নিবারণ কে গড়ে তুলেছিলেন সত্যধর্ম্ম প্রচারের উদ্যোগে, কিন্তু ওই সময় সুরেন্দ্র নাথ সেনগুপ্ত সত্যধর্ম্মের প্রভূত ক্ষতি করে গিয়েছেন, মহাত্মা নিবারণ কে বহু খারাপ কথা শুনতে হয়েছে বহু অপমান হতে হয়েছে কিন্তু পরম পিতার ইচ্ছায় প্রধান প্রবর্ত্তক গুরু হলেন মহাত্মা নিবারণ চন্দ্র পান্ডে।
গুরুদেব নিজের হাতে উপাসনা খন্ডের চতুর্থ অধ্যায়ের শেষের দিকে লিখে গিয়েছেন, তা সত্বেও আমরা অন্ধের মত গুরুদেবের কথা অমান্য করে ধ্যান এবং অন্যান্য বহু কিছু বাদ দিয়ে আমরা উপসনা করতে শুরু করেছি এবং নিজেদেরকে অধঃপাতের দিকে ঠেলে দিয়েছি। আমাদের উদ্ধার কল্পে পুনরায় পরম পিতার আশীর্বাদে আমরা আবার পেলাম আদিষ্ট সাধক মহাত্মা নিরুপম কে প্রবর্ত্তক গুরু রূপে যিনি প্রবর্ত্তক রূপে আমাদের মাঝে আছেন, গুরুদেবের নির্দেশ ছাড়া এক পাও হাঁটেন না তিনি। গুরুদেব যখন যাহা আদেশ করেন তখন তিনি তাহা করেন গুরুদেবের ইচ্ছা অনুযায়ী আমাদেরকে তিনি পরিচালনা করতে চেষ্টা করেন।
বিগত ৪৮ বৎসর আদিষ্ট সাধক ছিলেন না সত্যধর্ম্মের প্রচার কার্য্য বিন্দুমাত্র হয়নি, কারণ আদিষ্ট সাধক ছাড়া সত্যধর্ম্ম প্রচার কার্য্য অসম্ভব। তাই অন্ধকারের অতলে তলিয়ে ছিলাম আমরা , অধর্ম্মকে ধর্ম্ম ভেবে অনেকে যায় নিরয় আমাদের দশা ও ঠিক তাই হয়েছিল । আমার জীবনে কি করে উপাসনা করতে হয় জানতাম না শুধু গুরুপূজা করতাম যতটুকু পারি আর গুরুর কাছে কাঁদতাম গুরুদেব আমাদের ভাগ্যে কি মহাপুরুষ জুটবে না স্থূলভাবে তোমাকেও পাইনি মহাত্মা নিবারণ চন্দ্রকে ও পাইনি তুমি আমাদের আশা পূর্ণ করো পিতা, সাহায্য করো রক্ষা কর জগতের পাপিতাপি সন্তানদের ,আমাদিগের কষ্ট মোচন করো তুমি মহাপুরুষের আশা পূর্ণ করো তুমি সন্ধান দাও আমাদের, গুরুদেব আশা পূর্ণ করলেন 2011 সাল ব্রাহ্ম দর্শন করলেন মহাত্মা নিরুপম ।
আমাদেরকে শিক্ষা দিলেন কি করে উপাসনা করতে হয় । তিনি আমাদেরকে গুরুদেবের নির্দেশিত নিয়মে প্রোগ্রাম প্রস্তুত করে দিলেন। ছিল না গান তিনি বহু গান লিখলেন, আমরা এখন উপাসনায় আনন্দ অনুভব করি শান্তি অনুভব করি আত্মায়, কখনো কখনো মনে হয় অমৃত পান করিতেছি ব্যাকুল হয়ে পড়ি বহু সময়। বহুদিন আগে একবার প্রবর্ত্তক গুরু উৎসবের মাঝে বলে উঠলেন গুরুদেব বলছেন কবে আমার সন্তানগন এক মাস ধরে উৎসবে সাধনায় রত হবে, কবে আসবে আমার সেই দিন আমরা আদিষ্ট সাধকের কথা কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি।
এক মাস উৎসব হলো। কি করে সম্ভব কি করে আমরা উপাসনা করব কিন্তু পরম পিতার ইচ্ছায় হয় না এমন কিছু নেই আজ তিন মাসের উপরে দিনে চারটি করে গুণের উপাসনা একটি করে গুরুপূজা আমরা যে যার বাড়িতে বসেই করছি। নিত্যক্ষন সাহায্য করছেন আমাদের আদিষ্ট সাধক মহাত্মা নিরুপম। পরম পিতার আশীর্বাদে এই নবজাগরণ পুনরায় জাগ্রত ও উজ্জ্বল হয়ে রবে বর্তমান প্রবর্ত্তক গুরু মহাত্মা নিরুপম, অমৃত পানে আমাদেরকে সুধা বাড়ি দান করবেন। প্রবর্ত্তক গুরুর চরণে জানাই আমার ভক্তিপূর্ণ প্রণাম।
সমীর ঢালী, উড়িষ্যা, ৪.৮.২০২০

0 Comments