কি কি উপায়ে একাগ্ৰতার বৃদ্ধি হয়?

     যখন দেখিতে পাই যে, আমরা যে বস্তুকে বা যে ব্যক্তিকে যত অধিক পরিমাণে ভালবাসি, অনন্যাসক্ত হ‌ইয়া সেই বস্তু বা সেই ব্যক্তিতে তত অধিকক্ষণ মনোনিবেশ করিতে পারি, এবং যাহা ভালবাসিনা,তাহাতে অল্পক্ষণ মাত্র মনোনিবেশ করিয়া সাতিশয় ক্লান্তিবোধ করি ও চঞ্চল চিত্ত হ‌ই, তখন স্পষ্ট‌ই প্রতীয়মান হ‌ইতেছে যে, প্রেম,ভক্তি, স্নেহ, শ্রদ্ধা প্রভৃতি কোমলগুণ সমূহের সাধনা দ্বারাই একাগ্ৰতা - গুণের উন্নতি হয়। বস্তুত প্রেম,ভক্তি প্রভৃতি গুণদ্বারা যেমন একাগ্ৰতার বৃদ্ধি হয়, এরূপ আর কিছুতেই হয় না

     সত্যধর্ম্মের মূল পুস্তকে লিখিত হ‌ইয়াছে যে,গুণানুশীলন‌ই গুণবৃদ্ধির উপায়। যখন নিখিলগুণের উন্নতির পক্ষে অনুশীলন প্রশস্ত উপায়, তখন যে উহা একাগ্ৰতার পক্ষেও কার্য্যকারী হ‌ইবে, তাহাতে আর সন্দেহ কি? বস্তুতঃ একাগ্ৰতার অনুশীলন করিলে,  অর্থাৎ , বিষয়ান্তর হ‌ইতে মন আকর্ষণ পূর্ব্বক অভীষ্ট বস্তুতে পুনঃ পুনঃ স্থাপন করিলে একাগ্ৰতার বৃদ্ধি হয়।

বুভুৎসাবৃত্তি বলবতী হ‌ইলেও একাগ্ৰতাবৃদ্ধি হয়। বুভূৎসা অর্থাৎ জ্ঞান লাভের ইচ্ছা যখন প্রবল হয়, তখন ২য় উপায়ে অজ্ঞাতসারে অতিদৃঢ়ভাবে পুনঃ পুনঃ কার্য্যসাধন হ‌ওয়াতে একাগ্ৰতার বৃদ্ধি হ‌ইয়া থাকে।