ভক্তির বিভাগ ও লক্ষণাদি।
ভক্তি 2 প্রকার; যথা পার্থিব ভক্তি ও ঈশ্বরভক্তি মাতা পিতা গুরুদেব বা মা এবং অন্যান্য মহাত্মা দিগের প্রতি যে ভক্তি অর্থাৎ অপূর্ণ আত্মার প্রতি যে ভক্তি তাহাকে পার্থিব ভক্তি কহে। আর পূর্ণ পুরুষের প্রতি যে ভক্তি, তাহাকে ঈশ্বরভক্তি কহে। ভক্তিভাজন ভেদে ভক্তি উল্লিখিত দুই প্রকার বটে, কিন্তু ভক্ত অনুসারে উহা ভক্তি অষ্টাদশ প্রকার। পরন্ত, এস্থলে উহাদিগের বিশেষ বিবরণ নিষ্প্রয়োজন।
ঈশ্বর ভক্তির উৎপত্তি।
পার্থিব ভক্তির উৎপত্তি বিবরণ পূর্বে বলা হইয়াছে। এক্ষণে ঈশ্বরভক্তির উৎপত্তির বিষয় বর্ণিত হইতেছে। ঈশ্বরভক্তি নিম্নলিখিত দুইটি গুণের সংযোগে উৎপন্ন যথা-
১) পার্থিব ভক্তি
২) আধ্যাত্মিক প্রেম
পার্থিব ভক্তি মাতা পিতা ও অন্যান্য গুরুজনদিগের প্রতি করা হয়, সুতরাং উহা সীমাবদ্ধ। ঈশ্বর ভক্তি অসীম সীমাবদ্ধ অর্থাৎ প্রেম অনন্ত বলিয়া ঈশ্বরভক্তি অনন্তের সীমাবদ্ধ আকার। মনে কর "ক" নামক একটি বস্তু পাশ্বে (চতুষ্পার্শ্বে), অধোদেশে ও উদ্দেশে অসীম এবং "খ" নামক একটি বস্তু পার্শ্বে ও অধোদেশে সীমাবদ্ধ হইয়াও উদ্ধদেশে অসীম। এস্থলে "ক" ও "খ" এ প্রভেদ, ঈশ্বর প্রেম ও ঈশ্বর ভক্তিতে তদ্রুপ প্রভেদ। অতএব বিবেচনা করিয়া দেখ প্রেমের সীমাবদ্ধ ভাবকে ভক্তি কহে।

0 Comments