🕸️ পাপ কিরূপে হয় ? 🕸️
জগতের সকল ব্যক্তি সকল কার্য্যে সমান অধিকার নহে। দেখ, যে মাতৃদুগ্ধ ব্যতীত শিশুর জীবন রক্ষা সুকঠিন, সেই মাতৃদুগ্ধ আবার যুবার পানীয় নহে। অপর যুবা যে মৎস্য মাংসাদি দ্বারা শরীর সবল করিয়া থাকেন শিশুর পক্ষে তাহা ভক্ষণীয়ই নহে। অন্যদিকে দেখো যে ব্যক্তি বহুকাল আকরের অন্ধকারময় স্থানে বাস করে, একেবারে সূর্য্যালোকে সমুদ্ভাসিত স্থানে উন্মীলিতণেত্রে গমন, তাহার পক্ষে অসম্ভব; অর্থাৎ তথায় গমন করলেও তাহাকে নিমীলিতনেত্রে থাকিতে হইবে। অপর নিরন্তর আলোকরাশিতে ভ্রমণশীল ও যদি অন্ধকারময় স্থানে গমন করেন, তবে তিনিও প্রথমে কিছুই দেখিতে পাইবেন না ইত্যাদি বিষয়ে অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে জেরা করা কর্ত্তব্য অসুস্থের পক্ষে তাহা ও অকর্ত্তব্য সুস্থদিগের মধ্যে ও ক্ষমতা বিশেষে বিভিন্ন প্রকার কাজ করা উচিত বস্তুতঃও যে ব্যক্তির যতদূর ক্ষমতা আছে, তাদের কার্য্য না করিলেও তদপেক্ষা অধিক কার্য্য করিলেই জীবাত্মার কষ্ট হয়, সুতরাং ঐ সমস্তই পাপ। এইরূপেই জীবাত্মার পাপ হয়।
প্রথমত জন্ম গ্রহন কালে পিতা, পিতামহ প্রপিতামহ এবং বৃদ্ধপ্রপিতামহ এই সাতজনের পিতামহী, মাতামহী প্রভৃতি পাঁচ জনের পাপ থাকে তত পাপ স্বীকার করিয়া গর্ভে প্রবিষ্ট হইতে হয় কিন্তু যদি সৌভাগ্যক্রমে মাতা-পিতা নিষ্পাপ অর্থাৎ পূর্বতন হইয়া থাকেন তবে গর্ভস্থ পূর্বোক্ত হয় না কিন্তু তাহাদিগের যদি যদি অন্য পাপ থাকে তবে তাহা হয় দ্বিতীয়তঃ স্বকৃত পাপ অর্থাৎ পাপকর কার্য সম্পাদনে যে পাপ হয় তাই এই দুই প্রকার এবং কতিপয় সূূক্ষকারণে পাপস্পর্শ হয়।

0 Comments