উপাস্য নির্ণয়

       "জগদীশ্বরের উপাসনা করা কর্তব্য।" এই কথা শ্রবণ মাত্রই বৈজ্ঞানিক বলিবেন "তুমি যাঁহার (যে জগদীশ্বরের) উপাসনার বিষয় বলিতেছ প্রথমত: তাহার অস্তিত্বের প্রমাণ কি দ্বিতীয়তঃ ঈশ্বর থাকলেও তিনি এক  কি বহু ? তৃতীয়তঃ তিনি সাকার কি নিরাকার চতুর্থত তিনি সগুন কি নির্গুণ এবং পঞ্চমত: তাহার স্বরূপ কি ? এই পাঁচটি বিষয় না জানিলে কিরূপে তদীয় উপাসনায় প্রবৃত্তি হইবে কারণ এই পাঁচটি বিষয় হইতেছে।


         ঈশ্বরের অস্তিত্ব

       দৃশ্যমান জগতে এতাদৃশ মানব অতি অল্প সংখ্যক‌ই আছেন, যাহারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। ফলতঃ যাঁহারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব সপ্রমাণ করিতে না পারেন তাঁহারাও এরূপ বলিতে পারেন না, বা বলিবার কারণ লাভ করেন না যে, "ঈশ্বর নাই।"সুতরাং যে যে দেশে বাস করুক না কেন, যে যেকালে বিদ্যমান থাকুক না কেন, যে যে কোন অবস্থায় পতিত হ‌উক না কেন যখন জগতের প্রায় সকলেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিশ্বাস করেন তখন এ বিষয়ে উল্লেখ না করলেও চলিত, কিন্তু দুর্ভাগ্য বঙ্গদেশের অনুচিকীর্ষা বৃত্তি এতই বলবতী যে, কতিপয় নিরীশ্বরবাদী সর্বনাশ বচনেও অনেকেই চঞ্চল চিত্ত কারণ ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিম্নে নববিধ যুক্তি ও পবিত্র শাস্ত্র উক্তিরূপ পঞ্চকের চতুর্দ্দশটী প্রমান প্রদর্শিত হইল। নিবিষ্টমনাঃ পাঠকগণ দেখিতে পাইবেন যে উল্লিখিত যুক্তি সমূহের এক একটি দ্বারাও শত শত নিরীশ্বরবাদ দর্শন খণ্ডিত হ‌ইতে পারে।