
ওঁং
কি উপায়ে সত্যধর্ম্ম অবলম্বন করা যায় ?
প্রথম পরিচ্ছেদের শেষভাগের যে সকল গুণের উল্লেখ করা হইয়াছে, ঐ সকল গুণবিশিষ্ট হইলে, পারোলৌকিক মহাত্মাদিগের নিকট হইতে এই ধর্ম্ম লাভ করা যায়। কিন্তু ঐ সকল গুণ সাধারণের লাভ করা দূরে থাকুক, ভূমণ্ডলে কোটি কোটি বৎসরের মধ্যে কদাচিৎ ২।১ জনে লাভ করিতে পারেন। এজন্য কেবল পূর্ব্ব উপায়ে এই ধর্ম্ম সাধারণের সুপ্রাপ্য নহে। এ জন্যই উপযুক্ত গুণসম্পন্ন সাধকের প্রয়োজন। পূর্ব্বোক্ত প্রচারকেরা ভারপ্রাপ্ত সাধকের নিকটবর্তী হইয়া, জনসমাজে প্রচার করিতে উদ্যত হইয়াছেন। উল্লিখিত সাধকের নিকট হইতে যাঁহারা এই ধর্ম্ম গ্ৰহণ করিবেন, তাঁহাদিগের নিম্নলিখিত গুণগুলি আবশ্যক। ধর্ম্মার্থীর গুণ যথা-
(ক)-সহজ জ্ঞান।
(খ)-নির্ভরতা অর্থাৎ পরমপিতা যাহা করিতেছেন, তাহা আমার মঙ্গলের জন্যই হইতেছে। তিনি অনন্ত কালেও কখনও অমঙ্গল বিধান করিবেন না।
(খ)-নির্ভরতা অর্থাৎ পরমপিতা যাহা করিতেছেন, তাহা আমার মঙ্গলের জন্যই হইতেছে। তিনি অনন্ত কালেও কখনও অমঙ্গল বিধান করিবেন না।
(গ)-বিশ্বাস অর্থাৎ তিনিই আমার সমুদয়।
উল্লিখিত গুণবিশিষ্ট হইয়া, (পারোলৌকিক মহাত্মারা যাঁহাকে এই ধর্ম্মের যাবতীয় মর্ম্ম জ্ঞাপিত করিয়াছেন এবং গুণরাশি যাঁহাকে প্রকৃত উপযুক্ত পাত্র বিবেচনা করিয়া, প্রথমে পারোলৌকিক মহাত্মারা, পশ্চাৎ স্বয়ং পরমপিতা এই ধর্ম্ম প্রচারার্থে অনুমতি করিয়াছেন,) সেই সাধকের নিকটে বা তদাদিষ্ট ব্যক্তির নিকটে দীক্ষিত হইলেই এই ধর্ম্ম অবলম্বন করা যায়। দীক্ষিত হইবার নিয়ম পরবর্তী পরিচ্ছেদে বিস্তারিত রূপে লিপিবদ্ধ করা যাইবে।
[অনন্ত করুণাময় পরম পিতার ইচ্ছায় আমরা এই ধর্ম্ম পাইয়াছি। এই অমূল্য রত্ন পাইয়াও আমরা সর্বক্ষণ হারাইয়া ফেলিতেছি, আমার মনে হইতেছে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সহজেই এই ধর্ম্ম আমরা লব্ধ করিয়াছি। শোনা যায় যে কোটি কোটি বৎসরের মধ্যে দুই এক জন এই ধর্ম্ম লাভ করিতে পারিতেন। তাহা হইলে আমরা দিনের পর দিন কেমন ভাবে ভক্তির অভাবে এই রত্নটি হারাইয়া ফেলিতেছি। কথায় আছে সহজেই পাইলে সেই বিষয়ের গুরুত্ব কিছুই বোঝা যায় না। তেরোটি গুন লব্ধ না হইলে সত্যধর্ম্ম লাভ করিতে পারিতেন না। পরমপিতার অপার করুণায় মাত্র তিনটি গুণে রূপান্তরিত করিয়া আমাদের সম্মুখে পরিবেশন করিলেন আমরা তাহা ঠিক মতন ব্যবহৃত জীবনে গুণান্বিত করিতে পারিতেছি না। তা হইলে কি করিয়া বলি আমরা সত্যধর্ম্ম অবলম্বী। সহজ জ্ঞান, নির্ভরতা, বিশ্বাস এই তিনটি গুণ যা সহজেই লাভ করা যাই কিন্তু আমরা তা করি না এই অমূল্য সম্পদ দিনের পর দিন হারাইয়া ফেলিতেছি তাই পরমপিতা এবং পারোলৌকিক মহাত্মারা যাঁহাকে এই ধর্ম্মের প্রচারার্থে অনুমতি দিয়াছেন সেই সাধকের নিকটে বা তদাদিষ্ট ব্যক্তির নিকটে দীক্ষিত হইলে এই ধর্ম্ম অবলম্বন করা যায়। সময় থাকতেই আমাদের এই ধর্ম্ম অবলম্বন করিতে হইবে।]
1 Comments
অসাধারণ।
ReplyDelete