🌼 সুখের অভাব 🌼
যখন প্রত্যেক মনুষ্যকেই কোনও না কোন ও সময়ে দুঃখ সুখ দুঃখা ভাবে দুঃখ এবং সুখ দুঃখের একত্ব ,এই চারিটী অবস্থা ভোগ করিতেই , যখন আনন্দ আত্মার স্বাভাবিক ধর্ম্ম এবং যখন জড়ভাবের সত্তাকালে সুখ বা জড়ানন্দ ও তদীয় বিগম -সময়ে বিশুদ্ধ প্রেমানন্দ সঞ্জাত হয়, তখন বলা যাইতে পারে যে, সুখের অত্যন্ত ভাব মানবের কথা দূরে থাকুক্ কোনও জীবের জীবনে সংঘটিত হয় না ।তবে,জড় দেহধারী আত্মা সময়ে সময়ে এতই অবসন্ন হয় যে তখন কি সুখ কি দুঃখ কিছুই অনুভব করিতে পারে না। সাধারণ জনগণের এই সময়েই মৃত্যু হইয়া থাকে। অনেকেই প্রত্যক্ষ করিয়াছেন যে ,বহ্নদিন পর্য্যন্ত রোগে কাতর রোগিগণ মৃত্যুর অল্প কয়েকদিন পূর্ব্বে "ভাল আছি"বলিয়া স্বীয় দুঃখানুভব শক্তির অভাব প্রকারান্তরে জ্ঞাপন করিয়া থাকেন।
কিন্তু মহাত্মাগণের পক্ষে এ নিয়ম নহে। যাঁহারা জড়াতীত চৈতন্যবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাঁহারা কি জড় ,কি চেতন সমুদায়ই ব্রহ্মময় অবলোকন যেমন সাধারণ মানুষের লোকে কষ্ট বোধ করে না, তদ্রুপ তাঁহারা স্থূলদেহ পরিত্যাগ করিতে অনুমাত্র ক্লেশ বোধ করেন না।প্রত্যুত ,প্রাতঃ মধ্যাহ্ন সায়াহ্নাদি সময় যেমন প্রত্যেক জীব আব্যাকুল ভাবে ভোগ করে,তাঁহারাও তদ্রুপ অকর্মণ্য স্থূল দেহ পরিত্যাগে অনুমাত্র ক্লেশ অনুভব না করিয়া মহানন্দে অভীষ্ট স্থানে গমন করেন।
অতএব সংক্ষেপে বলা যাইতে পারে যে যে, মহাত্মাদিগের পক্ষে না হইলেও,সাধারণের পক্ষে যখন সুখ ও দুঃখের অনুভব -শক্তি থাকেনা, তখনই মৃত্যু হয়।

0 Comments