🍁   আমার চোখে প্রবর্ত্তক গুরু  🍁

    আমাদের আদিষ্ট সাধক প্রবর্ত্তক গুরুর চরণে প্রণাম জানিয়ে কিছু প্রকাশ করতে চাই। 

     প্রথমেই বলি নবজাগরণ কি এর অর্থ বা কী? আদিষ্ট সাধকের মুখে শুনতাম নবজাগরণ হবে কিন্তু কি হবে মনে সবসময় প্রশ্ন থাকতো জিজ্ঞাসা করতে পারতাম না আমাদের আদিষ্ট সাধক  প্রবর্ত্তক গুরুর কাছে । আমাদের  বাড়ি মধুৎসবের জন্য  প্রস্তুতি চলছে কিন্তু "কোরণা"র জন্য মধুৎসব টা হলো না। 

এই উৎসব হ‌ওয়ার আগেই প্রবর্ত্তক গুরু বলেছেন যদি এই উৎসব না হয় তাহলে সবার বাড়িতে বসে নিয়মিত উৎসবের রীতি নীতি পালন করতে হবে আর উৎসব শেষ হলেও উপাসনা চলবে সেই দিন ই বলেছেন এই "কোরণা" পরিস্থিতি যতদিন না ঠিক হবে এই লকডাউন উঠবে ততদিন আমি  প্রতিদিন পাঁচটি করে উপাসনা করবো।যার ইচ্ছা সে করতে পারে। 

তখন আমি নিজের মনে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হ‌ই প্রবর্ত্তক গুরু যতদিন এই উৎসব চালিয়ে যাবেন আমি ও এই উৎসব নিয়মিত করবো। কিন্তু তখন ভুলেই গিয়েছিলাম একটি গুরুদেবের আদেশের কথা । মনে প্রশ্ন জাগতো মধূৎসব শেষ হ‌ওয়ার পরেও কেন এই উৎসব চলছে ।কারণ দেড়  বছর আগে আদিষ্ট সাধক প্রবর্তক গুরু, গুরুদেবের একটি আদেশের কথা জানিয়েছিলেন।গত দেড় বৎসর পূর্বেই গুরুদেব আদেশ করেছিলেন। আমাদের আদিষ্ট সাধক প্রবর্তক গুরু এই আদেশ জানিয়েছিলেন। 



আমরা সকল সৎ-সতীগণ এই উদ্ভট তত্ত্ব কে অবাস্তব বলে বিবেচনা করেছিলাম। তখন আমরা বুঝতে পারিনি প্রবর্তক গুরু কেন সময় নষ্ট করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৫০ টি গুণপোসনা  প্রস্তুত করেছিলেন ।মধুৎসব থেকে আমাদের উৎসব শুরু হয়েছে এখনো চলছে এই উৎসব । ভাবতে পারিনি এই উৎসব আমি করতে পারবো একদিকে মনে ইচ্ছা শক্তি ও ছিলো আমি  পারব। এই উৎসবে অনেক বাঁধা , বিপদ এসেছিল কিন্তু আমার আদিষ্ট সাধক প্রবর্ত্তক গুরু বলেছিলেন অসীমা তুমি তোমার মূখ্য ঠিক রাখবে গৌণ সুচারুভাবে চলবে।



সত্যি এই উৎসব চলাকালীন কিভাবে যে আমার গুরু দেব, আদিষ্ট সাধক প্রবর্তক গুরু, পারলৌকিক মহাত্মা এবং দেবদেবী গণ সাহায্য করেছিলেন। প্রতিটি মুহূর্তে প্রবর্তক গুরু সাহায্য করতেন। আমার খুব জ্বর  হয়েছিল। প্রবর্তক গুরু আমার কোন শারীরিক কষ্ট বুঝতে  দেননি সঠিক সময়ে উপাসনা করা , ঘুমিয়ে পড়লে সুক্ষ্ম ভাবে ডেকে দিতেন। সব সময় আমি প্রবর্তক গুরুর সাহায্য পেতাম । গুরু পূজায় ধ্যানের সময় মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করতেন।



  মাথা যন্ত্রণা করলে শুধু গুরুদেবের চরণে মাথা ঠেকিয়ে বাবা বলে ডাকতাম আমার সঙ্গে সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা ঠিক হয়ে যেত । উৎসবের আগে ছয় ঘণ্টা এবং আট ঘণ্টা উপাসনা করতাম। কিন্তু  এই উৎসব শুরু থেকে সকালে গুরু পূজা এবং চারটি করে উপাসনা প্রতিদিন করছি।  তিন মাসের অধিবেশন শেষ হয়েছে কিন্তু এখনো উৎসব শেষ হয়নি তাই উৎসব চালিয়ে যাচ্ছি কোন সময় আমার কষ্ট হয়না। প্রবর্তক গুরুর আশীর্বাদ না থাকলে আমি হয়তো এই সত্যধর্ম্মে আসতে পারতাম না। এবং প্রকৃত সত্যের সন্ধান পেতাম না শুধু মাত্র পেয়েছি আদিষ্ট সাধক প্রবর্ত্তক গুরুর জন্য। একটা কথাই বলবো পিতা মাতার খুব কাছে যে সন্তান থাকে সে পিতা-মাতার  খুব প্রিয় আর সন্তানের সব দ্বায়িত্ব তাদের থাকে।



তাই গুরুর কাছাকাছি যতো থাকা যাবে তত‌ই প্রিয় হ‌ওয়া যাবে। তাই প্রিয় হয়ে উঠতে গেলে নিত্য পরমপিতার উপাসনা করতে হবে । গুরুদেবের যে সন্তান বেশি উপাসনা করে সে তত‌ই প্রিয়। সেই সন্তান কে গুরু সব রকম ভাবে সাহায্য করে কি পার্থিব কি আধ্যাত্মিক ।আমি তার প্রমাণ। উপাসনায় বল উপাসনায় শক্তি এটি আমি এই দুই বছরে বুঝতে পেরেছি। দূর থেকে অনেকেই অনেক কথা বলেন প্রবর্তক গুরুদেব কে আমার ঐ সব ব্যক্তি দের কাছে একটাই বক্তব্য কিছু না জেনে শুনে কথা বলা উচিত না । একজন কাছের মানুষ কে চিনতে অনেক বছর সময় লাগে আর ইনি উন্নত একজন সাধক তাহলে তাঁকে চিনতে নিজেকে অনেক উন্নত করতে হবে।



তার জন্য নিয়মিত উপাসনা , সাধনা ,প্রকৃত দীক্ষিত হ‌ওয়া প্রয়োজন তার জন্য প্রকৃত গুরুর প্রয়োজন যিনি সঠিক পথ দেখান । তিনি হচ্ছেন আমাদের আদিষ্ট সাধক প্রবর্ত্তক গুরু একবার আপনারা , সহজজ্ঞান , নির্ভরতা, বিশ্বাস এই তিনটি গুণ অর্জন করে এগিয়ে আসুন তাহলে আপনারা কিঞ্চিত জানতে পারবেন প্রবর্তক গুরু কে  । জানতে এবং চিনতে গেলে অনেক গুণের অধিকারী হতে হবে। তিনি তো আমাদের কাছে কিছুই চান না শুধু আমাদের উন্নতি ,পরমোন্নতি কামনা করেন এবং সত্যের সন্ধান দেন।