মায়া ঘোরে পড়ে নরে পাসরে আপনা সবে।
স্রোতোগত পাতা সম মায়া স্রোতে ভাসে ভবে
বাল্য যৌবন গত হয়, তবু নহে জ্ঞানোদয়,
কি ছিল,কি হল তাহা,বারেক নাহিক ভাবে।  
  হরিদ্বারে বিমল জলে,
               পড়িয়ে যায় অতলতলে,
                লবণ জলধির ধীর,
                     মরি হায় হায়-
 তবু চেতনা সঞ্চার, নাহি হয় হ্নদে তার,
কিবা বিপদের ব্যাপার,মরি এই ভবার্ণবে॥

    মায়া  ঘোরে পড়ে মানুষ কে দূঃখ জ্বালায় পড়তে হয় ।গুণী না হতে পারলে জ্বালা যন্ত্রণা পেতে হয় । এখানে স্রোত বলতে মায়ার স্রোতের কথা বলা হয়েছে । এখানে মায়া বলতে বলা হয়েছে দেহ ।দেহ আজকে আছে কালকে থাকবে না তাই এই দেহ নিয়ে মায়া করে লাভ নেই। আর একটি দিকের কথা বলা হয়েছে "কল্পনা "। কল্পনা মাত্র‌ই মিথ্যা সেই মিথ্যা কে পরমপিতা পরমেশ্বর বলে উন্নতির বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সেই স্রোতে ভাসতে বারণ করেছেন গুরুদেব কেননা সেই স্রোত মিথ্যার স্রোত তাতে অতল তলে তলিয়ে যেতে হবে ।বাল্য থেকে যৌবন অবধি যে জ্ঞানে পড়াশোনা করে জানতে পেরেছি অনেক কিছু। আমাদের জ্ঞান উদয় হ‌ওয়া সত্ত্বেও আমরা কল্পনা মাত্রই যে মিথ্যা এটুকু জ্ঞান আমাদের হয় না। বহু গুণ একত্রিত করিলে একটি বস্তু পদার্থের সৃষ্টি হয় তবু সেই বস্তুটিকে যদি বলি পরমপিতা পরমেশ্বর তাহলে কি করে চলে? আমাদের তবুও জ্ঞান উদিত হয় না। আমাদের জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও মিথ্যার পিছনে ছুটে বেড়ালে অতল তলে তলিয়ে যেতে হয় কেননা সময় বড়ো কম । যৌবন থাকতে থাকতেই গুণ অর্জন করে নিতে হয় না হলে শেষ সময় অর্থাৎ বৃদ্ধ কালে নানান রকমের বৈকুল্য দেখা যায় তার জন্য গুণ অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়ে । তখন হাহাকার করতে হয় কেননা তখন মনে পড়ে যৌবন থাকতে যদি গুণ অর্জন করতাম তাহলে এখন আমি সুখী থাকতে পারতাম এটাই মূল কথা।