ধ্যানস্থ মনস্বী মানব ক্রমশঃ এই সকল দেখিতে ও জানিতে পারেন-প্রথমে তিনি গাঢ়তর অন্ধকার দেখেন; দ্বিতীয় সময়ে বিরল অন্ধকার; তৃতীয় সময়ে মূর্ত্তি দর্শন;এই মূর্ত্তি কখনও অল্পকাল এবং কখনও বা দীর্ঘকাল থাকে। চতুর্থত দেবগণের জ্যোতিঃ দেখিতে পাওয়া যায়।দেবগণ শব্দে পরলোক গত মহাত্মা বা ইহলোকস্থিত মহাত্মা বুঝাইতেছে । অনন্তর ঐ সকল মহাত্মাদিগের সহিত কথোপকথন হয়; ইহাই পঞ্চম অবস্থা।ষষ্ঠবস্থায়, ব্রহ্মের তেজোদর্শন হয়।এই তেজে ও দেবতেজে অনেক প্রভেদ ,প্রত্যক্ষ না হইলে বুঝাইবার সাধ্য নাই।তবে এই পর্য্যন্ত বলা যায় যে ,দেবতেজ দর্শনে মনে কেবল আনন্দ সঞ্চার হয় ব্রহ্মতেজোদর্শনে জ্ঞান লাভ ও প্রেম লাভ ও আনন্দ লাভ হওয়াতে অপূর্ব অবস্থা হইয়া থাকে ।সপ্তমে , ব্রহ্মদর্শন। ব্রহ্মও অনির্ব্বচনীয় , তদীয় দর্শন ও অনির্ব্বচনীয় ,ইহা প্রকাশ করিতে পারে, এরূপ ভাষা জগতে নাই।
0 Comments